আজ নোভেল করোনা ভাইরাস এর পরিস্থিতির কারণে সারা দেশের মতো রংপুরে ও সব কিছু বন্ধ রয়েছে।
জেলা সদর হাসপাতাল সহ প্রাইভেট হাসপাতাল খোলা রয়েছে। তখন পল্লী চিকিৎসকেরা সরকারের নির্দেশনায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শহর থেকে গ্রামে, পাড়া ,মহল্লায় তৃণমূল মানুষের বাড়ি বাড়ি সেবা দিয়ে যাচ্ছে।যাতে অসুস্থ লোক বাড়ির বাহিরে না আসে এবং বিপিডিএ সদস্যদের সংগঠনের পক্ষ হতে নিরাপত্তার জন্য ফ্রি পিপিই এবং করোনার উপর সচেতনতা মূলক প্রশিক্ষন দিচ্ছে ও জটিল রোগীদের বিপিডিএ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার এর মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সে এমবিবিএস, বিডিএস ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে সরাসরি কথা বলে স্যারদের দিক নির্দেশনা মেনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাই এখন গ্রামের পল্লী চিকিৎসকেরাই একমাত্র ভরসা স্থলে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষদের কাছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে,পীরগাছা উপজেলায় রাজবাড়ী পাকার মাথা বাজারে রিফাত চিকিৎসালয়ে বসে বাংলাদেশ প্যারামেডিক্যাল এ্যাসেসিয়েশন বিপিডিএ রংপুর জেলা সভাপতি ডাঃ এম এ রহিম মিয়া বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার এ্যাসোসিয়েশন(( বিপিডিএ)) সংগঠন থেকে করোনা প্রটেক্ট সংগ্রহ করে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ডাঃ এম এ রহিম মিয়া সকাল ৯ টা থেকে রোগী দেখা শুরু করেন। তারপর চলে বিরাম হীন ভাবে রোগী দেখেন। তিনি পিপিই মার্ক পড়ে প্রতিদিন অর্ধশত রোগীর সেবা দিচ্ছেন। সেখানে মজিতন নেছা নামের এক রোগী ডায়বেটিস ও পেশার চেক আপ করে ব্যবস্থা পত্র দেন তিনি। কখনও কখনও তিনি রোগীর ফোন পাওয়া মাত্র রোগীদের বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন।
সেখানে কথা হয় পীরগাছা উপজেলা কোনাপাড়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, আবার সময় নিয়ে অপেক্ষা করতে হয়। এখানে আসলে কোনো ঝামেলা পেহাতে হয় না। তাই পল্লী চিকিৎসকেরাই গ্রামগঞ্জে হতদরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষের একমাত্র ভরাসা।
ডাঃ এম এ রহিম মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ভাই কি করব দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে বাড়িতে যদি করোনা ভাইরাসের ভয়ে বসে থাকি তাহলে এই অসহায় রোগী গুলো কোথায় যাবে। তিনি আরোও বলেন আজ দেশের ক্রান্তিলগ্নে গ্রাম গঞ্জের আপামর জনসাধারণ এর পল্লী চিকিৎসকেরাই আমদের একমাত্র ভরসা।
বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ) কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব রাকিবুল ইসলাম তুহিন বলেন, পল্লী চিকিসৎকরা স্বাধীনতার আগ থেকে বর্তমান সময় অবধি দেশের ক্লান্তিলগ্নে সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে দেশের চিকিৎসা সেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অথচ তাদের আবার বিভিন্ন সময় হয়রানীর স্বীকার হতে হয়। দেশের বিভিন্ন ক্লান্তি লগ্নে আমরা সরকারের সাথে ছিলাম, বর্তমানেও আছি ভবিষ্যতেও থাকব। তবে আমাদের প্রানের দাবি সরকার যেন পল্লী চিকিৎসকদের সকল প্রকার হয়রানি থেকে মুক্তি ও ডাক্তার হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। আমাদের এই জনবহুল দেশে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও নার্স না থাকায় পল্লী চিকিৎসকেরা ও চিকিৎসা সেবা ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।